নোয়াখালীতে ‘হিরো আলম’, ভিড় সামলাতে পুলিশের হিমশিম
শনিবার নোয়াখালীর সুবর্ণচরের নির্যাতিতা গৃহবধূকে দেখতে যান আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এদিন সকালে তিনি নোয়াখালী ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নির্যাতিতা গৃহবধূ ও তার পরিবারের সাথে দেখা করেন। হিরো আলম এসেছেন খবর ছড়িয়ে পড়লে হাসপাতাল চত্বরে লোকজনের ভিড় বাড়তে শুরু করে।
হিরো আলম সেখান থেকে বেরোতে গিয়ে প্রচণ্ড ভিড়ের কবলে পড়েন। পরে পুলিশের সহায়তায় সেখানে সংক্ষিপ্ত বক্তব্য দেন সোশ্যাল মিডিয়ার আলোচিত আশরাফুল আলম ওরফে হিরো আলম। এর আগে ভিড় সামলাতে হিমশিম খেতে হয়েছে পুলিশ সদস্যদের।
আমাদের প্রতিনিধি জানান, সুবর্ণচরের নির্যাতিতা গৃহবধূকে দেখতে যাবেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর। আগে থেকেই সেখানে শতাধিক পুলিশ ফোর্স নিযুক্ত ছিল। মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বেরিয়ে যাওয়ার পর হিরো আলম আসেন। তিনি হাসপাতালে ঢুকেছেন শুনে লোকজন পুরো এলাকায় জমায়েত হতে শুরু করে। এক সময় সবাই শ্লোগান দিতে শুরু করে। পুলিশ ফোর্স এসে হিমশিম খাচ্ছিল।
হিরো আলম বলেন, আমাকে নোয়াখালীর লাখো লোক চেনে, আমার আসার সংবাদে একনজর দেখার জন্য ছুটে এসেছে, এটা আনন্দের। কিন্তু আমি এসেছি আমার বোনের অপরাধীদের বিচারের দাবিতে। আমি সকলের উদ্দেশ্যে আমার মনের কথা বলতে পেরেছি। পুলিশ ভাইয়েরা আমাকে সহযোগিতা করেছেন, আমি কৃতজ্ঞ তাদের কাছে।
গত ৩০ ডিসেম্বর একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের ভোটগ্রহণ ছিল। ওই দিন সেই নারী ধানের শীষে ভোট দিয়ে ফেরার পথে তাকে দেখে নেওয়ার হুমকি দেন আওয়ামী লীগ নেতা রুহুল আমিন। এরপর রাতে রুহুল আমিনের নেতৃত্বে ১০ জন মিলে ওই গৃহবধূর বাড়িতে গিয়ে তার স্বামী ও সন্তানদের বেঁধে রেখে তাকে বাইরে নিয়ে গিয়ে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ করেন। এছাড়া ওই দম্পতি এবং তাদের সন্তানদের পিটিয়ে জখম করেন তারা।
এরপর সকালে সেই নারীকে উদ্ধার করে ২৫০ শয্যার নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তখন হাসপাতালের চিকিৎসকরা সেই নারীকে গণধর্ষণ ও পিটিয়ে জখম করার আলামত পাওয়ার কথা জানান। পরে এ নিয়ে সেই নারীর স্বামী চরজব্বার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
নোয়াখালী থেকে হিরো আলম পরে সুবর্ণচরে নির্যাতিতা গৃহবধূর বাসায় যান। সেখানে তার মেয়ের সাথে কথা বলেন ও সান্তনা দেন।
Comments are closed.