নোয়াখালীতে সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্কুলে যেতে পারছেনা শিক্ষার্থীরা, প্রভাবশালীদের ভয়ে প্রশাসন অসহায়

165

নোয়াখালীর বেগমগঞ্জের সেতুভাঙ্গা ৭০টি দোকান ভাংচুর করার পরও প্রকাশ্যে ঘুরছে সন্ত্রাসীরা। এলাকার কতিপয় প্রভাবশালী থানায় মামলা না করে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করবে বলে কালক্ষেপন করায় স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনসাধারনের মধ্যে তীব্র ক্ষোভের সৃষ্টি হয়েছে। সেতুভাঙ্গা এলাকার শতাধিক শিক্ষার্থীরা লক্ষীনারায়নপুর সন্ত্রাসীদের ভয়ে স্কুলে যেতে পারছে না। ২৭ নভেম্বর থেকে বার্ষিক পরীক্ষায় অংশগ্রহন করাও যে অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে।

সরোজমিনে গিয়ে ও স্থানীয়দের সাথে কথা বলে জানা যায়, গত ১৯ নভেম্বর চৌমুহনী- ফেনী আঞ্চলিক মহাসড়কের পাশে লক্ষীনারায়নপুর উচ্চ বিদ্যালয়ে স্থানীয় এক ছাত্রের সাথে সেতুভাঙ্গা এলাকার দুই ছাত্রের মধ্যে বাকবিতন্ডাকে কেন্দ্র করে ঐ দিন সন্ধ্যার পর লক্ষীনারায়নপুর এলাকার এমাম, সাব্বির, পিন্টু ও রাসেলের নেতৃত্বে শতাধিত সন্ত্রাসী দেশীয় অস্ত্র নিয়ে সেতুভাঙ্গা বাজার জামে মসজিদ মার্কেট, মোল্লা মার্কেট, বিশাল মার্কেট, রফিক মেম্বারের মার্কেট, শেফালী কোম্পানীর মার্কেটেসহ ৭০/৭৫ টি দোকান, একটি কিন্ডান গার্টেন স্কুল, একটি কমিউনিটি সেন্টার, ৫টি মোটর সাইকেল ও দুইটি পিকআপ ভাংচুর ভাংচুর করে।

বেগমগঞ্জ থানায় খবর দিলেও এক ঘন্টা পর পুলিশ এসে চলে যায়। এ ঘটনার প্রতিবাদে স্থানীয় ব্যবসায়ী ও জনগন প্রতিবাদ সভা, মানববন্ধন করে। কতিপয় প্রভাবশালী ব্যক্তি ঘটনাটি নিয়ে থানায় মামলা না করে স্থানীয়ভাবে মিমাংসা করতে ব্যর্থ হয়েছে। এতে ব্যবসায়ী ও জনগনের মধ্যে তীব্র অসন্তোষ সৃষ্টি হয়েছে।

না প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যবসায়ী অভিযোগ করেন, ঘটনার ৬ দিনেও পুলিশ কাউকে গ্রেফতার করেনি। বরং সন্ত্রাসীরা প্রকাশ্যে টহল দিচ্ছে। সেতুভাঙ্গা এলাকার কোন ছাত্র ছাত্রী স্কুলে যেতে পারছে না। যেতে চাইলে পথে মারধোর করে। ভয়ে ছাত্র ছাত্রীরা স্কুলে যেতে পারছে না।

বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ ফিরোজ হোসেন মোল্লা জানান, ঘটনা শুনে থানা থেকে ফোর্স এলাকায় গিয়েছে। এ পর্যন্ত থানায় মামলা হয়নি। মামলা হলে পরবর্তী ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

আরও পড়ুন

Comments are closed.