নোয়াখালীতে মামা ভাগ্নের ধর্ষণে অন্তঃসত্বা গৃহপরিচারিকা : বেরিয়ে এলো লোহর্ষক কাহিনী
নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলায় দিনের পর দিন আপন মামা ভাগ্নের বিকৃত লালসার শিকার হলেন ১৫ বছরের এক গৃহপরিচারিকা, প্রথমে মামা এবং মামার ধর্ষনের কাণ্ড দেখে পেলে সুযোগ নেয় ভাগিনাও টানা দিনের পরদিন ধর্ষনের কারনে আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে গৃহপরিচারিকা কিশোরী, ঘটনা ধামাচাপা দিতে ঔষধ খাইয়ে পেটের অনাগত সন্তানকে মেরে পেলো অভিডুক্তরা শুধু তাই নয় বাতেন ডুবাইওয়ালার বাড়ীতে ধর্ষিতা এবং তার মাকে জিম্মি করে ঘটনাটি ভিন্নখাতে প্রভাহিত করতে এলাকার স্থানীয় এক সুনামধন্য এক অজ্ঞাত ব্যাক্তিকে ফাঁসানোর চেষ্টা করে ধর্ষকরা, অবশেষে স্থানীয়দের সহযোগিতায় ঐ বাড়ী থেকে বের হয়ে ধর্ষিতা বাদী হয়ে নোয়াখালী জেলা বিজ্ঞ নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল নং ২ একটি ধর্ষণ মামলা করেন, মামলা নং ২৮৮৪/১৮।
স্বরজমিনে অনুসন্ধান এবং মামলার এজাহারে জানাযায়, এই বছরের শুরুতে কাতার থেকে বাড়ীতে আসেন সুবর্ণচর উপজরলার ২ নং চরবাটা ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের পশ্চিমবাটা গ্রামের বাতেন ডুবাইওয়ালার লম্পট পুত্র সাইফুল ইসলাম ওরফে সাইফুল ডুবাইওয়ালা, বাড়ীতে আসার পর পাশের গ্রামের হতদরিদ্র পরিবারের ১৫ বছরের কিশোরিকে গৃহপরিচারিকা কাজে নেন বাতেন ডুবাইওয়ালা। তার পর থেকেই সাইফুলের কুনজর পড়ে কিশোরীর প্রতি বিভিন্ন সময় ঐ কিশোরীকে অনৈতিক কাজের প্রস্তাব দেয় সাইফুল ইসলাম(২৬) এতে কিশোরী রাজি না হলে নিজ স্ত্রী সন্তানকে শশুর বাড়ীতে পাঠিয়ে গত ৪ এপ্রিল মঙ্গলবার রাত ১২ টার সময় ধর্ষক গৃহপরিচারিকার রুমের দরজায় কাড়া নাড়ে কিশোরী দরজা খুলতেই মেরে পেলার হুমকি দেখিয়ে জোরপূর্বক ধর্ষণ করে। এভাবেই হত্যার হুমকি সহ নানা প্রলোভনে পেলে ঐ কিশোরীকে একাধিকবার ধর্ষন করে সাইফুল। গৃহপরিচারিকার পাশের ঘরেই ছিল অভিযুক্ত সাইফুলের বোনের ছেলে জসিম উদ্দিন সেলিমের পুত্র রাকিব উদ্দিন ধর্ষনের ঘটনা দেখে পেলে এবং সাইফুলের অনুউপস্থিতে ধর্ষনের ঘটনা সে দেখেছে এবং সবাইকে বলে দিবে সহ নানামুখী হুমকি দিয়ে ১২ জুলাই গভীর রাতে কিশোরীর ঘরে ডুকে ধর্ষণ করে। তার পর একই কৌশলে দিনের পর দিন ধর্ষণ করে অভিযুক্ত রাকিব। এরইমধ্যে ধর্ষিতা কিশোরী আড়াই মাসের অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়লে ভিকটিম বিষটি বাতেন ডুবাইওয়ালার মেয়ে তাসলিমাকে জানালে বিষয়টি জানালে তাসলিমা ও বাতেন ডুবাইওয়ালা ঘটনাটি ধামাচাপা দিতে কৌশলে ধর্ষিতা কিশোরীকে ভিটামিন ও গ্যাস্ট্রিকের ওষধ বলে ঔষধ খাইয়ে আড়াই মাসের অনাগত সন্তান নষ্ট করে পেলে। খবরটি চারিদিকে ছড়িয়ে পড়লে বাতেন ডুবাইওয়ালা এবং ধর্ষক সাইফুল ইসলাম ধর্ষিতার মাকে তাদের বাড়ীতে ডেকে এনে জিম্মি করে একটি অলিখিত স্টাম্পে সই সাক্ষর নেয় এবং ঘটনাটি অন্যকেউ ঘটিয়েছে মর্মে প্রচারে লক্ষে এলাকার এক স্থানীয় ব্যাক্তিতে ফাঁসানোর চেষ্টা করে। মামলার এজাহারে আরো উল্লেখ করা হয় গত ২২ জুলাই ২০১৮ চরজব্বর থানায় ধর্ষিতা অভিযোগ করে মামলা করতে গেলে চরজব্বর থানার কৃর্তিপক্ষ মামলা না নিয়ে বিজ্ঞ আদালতে মামলা দায়ের করার পরামর্শ দেন। ধর্ষিতার একটি ভিড়িও জবান বন্ধিতে পুরো ঘটনার বর্ণনা দিতে গিয়ে কান্নায় ভেঙ্গে পড়ে এবং ধর্ষিতা কিশোরী উপযুক্ত বিচারের দাবীতে সংশ্লিষ্ঠ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন। বর্তমানে মামলা তুলে নিতে ধর্ষিতা কিশোরীকে নানা ভাবে হুমকি দিচ্ছে বলেই জানান ঐ কিশোরী।
এলাকাবাসী জানান সাইফুল ইসলাম দির্ঘদিন কাতারে ছিলেন, স্বল্প সময়ে আঙ্গুল ফুলে কলাগাছ হয়েছেন তৈরি করেছেন আলিশান বাড়ী। নাম প্রকাশে অনিচ্ছু স্থানীয় ব্যাক্তি বলেন কাতারে থাকাকালীন সময়ে সে ঐ কোম্পানির কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে আসেন, এবং সে কাতার যুবদলের কর্মি হিসেবে দায়ীত্বে ছিলেন বলে এলাকায় এসেও প্রভাব খাটাতেন। সম্প্রতি সাইফুলের ছোট ভাইয়ের বিয়েতে স্থানীয় একটি ভিড়িও স্টুডিওকে বিয়ের সাজসজ্জা ও ভিড়িও ধারনের কাজ কন্টাক্ট দিয়ে ঐ প্রতিষ্টানের সম্পূর্ণ টাকাই মেরে দেন এবং ঐ প্রতিষ্ঠানের মালিক টাকা দাবী করলে তাকে দলীয় প্রভাব দেখিয়ে নানা হুমকি ধমকি দেন। ধর্ষক সাইফুলের একের পর এক এমন ঘটনায় সুবর্ণচর উপজেলা টক অব দ্যা টাউনে পরিনত হয়েছে।
সুবর্ণচর উপজেলা যুবদলের একনেতা জানান, সাইফুল কাতারে যুবদলের কর্মি ছিল এটা ঠিক কিন্তু কোন অন্যায়কারিকে আমরা পশ্রয় দেয় না।
এব্যাপারে চরজব্বর থানার ওসি নিজাম উদ্দিন জানান, ঘটনাটি আমি শুনেছি এবং এই মামলার তদন্তভার সিবিআইকে দেয়া হয়েছে।