নোয়াখালীতে আগুনে পুড়ে প্রায় পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি
নোয়াখালীর কবিরহাট ও সোনাইমুড়ী উপজেলার পৃথক স্থানে আগুনের ঘটনা ঘটেছে। আগুনে ১০টি দোকান ও ৮টি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। আগুনে দোকান ও ঘরগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল পুড়ে অন্তত পাঁচ কোটি টাকার ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি ক্ষতিগ্রস্তদের।
বৃহস্পতিবার দিবাগত রাতে এ আগুনের ঘটনা ঘটে। শুক্রবার সকালে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধিরা।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, প্রতিদিনের মত তারাবির নামাজের পর দোকান বন্ধ করে নিজ-নিজ বাড়িতে চলে যায় কবিরহাট উপজেলার ধানসিঁড়ি ইউনিয়নের মকবুল চৌধুরীহাট বাজারের ব্যবসায়ীরা। রাত আড়াইটার দিকে মধ্য বাজারের একটি দোকান থেকে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মুহুর্তের মধ্যে আগুন দ্রুত দুপাশে ছড়িয়ে পড়লে আশপাশের লোকজন বিষয়টি দেখতে পায়।
এসময় বিষয়টি কবিরহাট ফায়ার সার্ভিসকে অবগত করলে একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় প্রায় ২ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হয়। কিন্তু এর আগে আগুনে বাজারের জসিম স্টোর, জামাল স্টোর, সেলিম ফল দোকান, মফিজ অটোরিকশা গ্যারেজ, নাসির মিষ্টি ভান্ডার, আলমগীর স্টোর, রাশেদ কম্পিউটার, বেদু কসমেটিকস, মোর্শেদ স্বর্ণ শিল্পালয়, সুমন বস্ত্র বিতান সম্পুন্ন পুড়ে ছাই হয়ে যায়।
বাজার কমিটির সভাপতি আবদুল মন্নান জসিম বলেন, কয়েকটি দোকানে গ্যাসের সিলিন্ডার থাকার আগুন দ্রুত ছড়িয়েছে এবং তার ভয়াবহতা বেশি ছিল। ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলোতে থাকা মূল্যবান মালামাল ও নগদ অর্থ পুড়ে প্রায় চার কোটি ৭০ লাখ টাকার ক্ষতি হয়েছে। শুক্রবার সকালে স্থানীয় ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান কামাল কোম্পানী ক্ষতিগ্রস্ত দোকানগুলো পরিদর্শন করে সবাইকে সহযোগিতার আশ্বাস দিয়েছেন।
এর আগে বৃহস্পিতবার দিবাগত রাত সাড়ে ৮টার দিকে সোনাইমুড়ী উপজেলার সোনাপুর ইউনিয়নের ধন্যপুর গ্রামের মুন্সি বাড়িতে বৈদ্যুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। আগুনে ওই বাড়ির সাতটি বসত ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে প্রায় ৩০ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। খবর পেয়ে সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিসের একটি ইউনিট ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় আড়াই ঘণ্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনেন।
আগুনের তথ্যগুলো নিশ্চিত করেছেন কবিরহাট ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার মো. সেলিম ও সোনাইমুড়ীর স্টেশন অফিসার রাকিবুল ইসলাম।
Comments are closed.