নেপালে বিমান দুর্ঘটনা : নোয়াখালীর একই পরিবারের ৩ জনের দাফন সম্পন্ন
নেপালে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের বিমান বিধ্বস্তের ঘটনায় নিহত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার একই পরিবারের তিন জনের দাফন সম্পন্ন হয়েছে। মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় নিজ বাড়িতে জানাজা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়েছে।
নিহতরা হলেন- সোনাইমুড়ী উপজেলার কেশারখিল গ্রামের সাতানি ভূঁইয়া বাড়ির মৃত আব্দুস সালেক এর ছেলে রফিক জামান রিমু, রফিক জামানের স্ত্রী ও সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন)’এর সমন্বয়ক সানজিদা হক বিপাশা এবং তাদের ৭ বছর বয়সী একমাত্র ছেলে অনিরুদ্ধ।
এর আগে ভোর ৫টায় নিহতদের মৃতদেহ গ্রামের বাড়িতে এসে পৌঁছায়। পরে সুজন সম্পাদক ডা. বদিউল আলম, স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, আত্মীয়স্বজন ও স্থানীয় লোকজন তাদের জানাজার নামাজে অংশ নেন।
উল্লেখ্য, নিহত রফিক জামান পরিবার নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে ঢাকার ধানমন্ডির কলাবাগানে বসবাস করতেন। রফিক জামান রিমু ও সানজিদা হক বিপাশা দু’জনই পড়াশোনা করেছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চলচ্চিত্র সংসদের সঙ্গেও যুক্ত ছিলেন তারা।
গত ১২ মার্চ চার ক্রু ও ৬৭ যাত্রীসহ ৭১ জন আরোহী নিয়ে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইন্সের একটি ফ্লাইট ঢাকা থেকে রওনা দিয়ে নেপালের স্থানীয় সময় দুপুর ২টা ২০ মিনিটে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে পৌঁছায়। অবতরণের সময় এটি পাশের মাঠে পড়ে বিধ্বস্ত হয়ে আগুন ধরে যায়। এই দুর্ঘটনায় নিহত হয়েছেন ৪৯ জন। তাদের মধ্যে বাংলাদেশের নাগরিক ২৬ জন। ২৩ জনের লাশ সোমবার দেশে আনা হয়েছে।
নিহতদের পরিবারের প্রতি গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেন স্থানীয় সংসদ সদস্য এইচ এম ইব্রাহিম, প্রধানমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সহকারী জাহাঙ্গীর আলম, সাবেক সংসদ সদস্য ব্যারিষ্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন, এনআরবি ব্যাংকের ভাইস চেয়ারম্যান খন্দকার রুহুল আমিন, সুশাসনের জন্য নাগরিক (সুজন) এর সাধারণ সম্পাদক বদিউল আলম মজুমদার, উপজেলা চেয়ারম্যান আনোয়ারুল হক কামাল, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা টিনা পাল।