নেইমারের দুরন্ত হ্যাটট্রিকে পিএসজির উড়ন্ত জয়
ফের জ্বলে উঠলেন নেইমার। গোটা ম্যাচে সাজালেন ফুটবলীয় কারিকুরির পসরা। করলেন দুর্দান্ত হ্যাটট্রিক। তার সঙ্গে গোল উৎসবে যোগ দিলেন কিলিয়ান এমবাপ্পে, এডিনসন কাভানি ও অ্যাঞ্জেল ডি মারিয়া। তাতে রেড স্টার বেলগ্রেডকে ৬-১ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে পিএসজি।
প্যারিসে শুরুটা দারুণ করে পিএসজি। সাফল্য আসতেও সময় লাগেনি। ২০ মিনিটে প্রায় ২২ গজ দূর থেকে বাঁকানো ফ্রি-কিক মানব দেয়ালের ওপর দিয়ে পোস্ট ঘেঁষে বল জালে জড়ান নেইমার। ২ মিনিট পরই ডি-বক্সে এমবাপ্পের কাছ থেকে ফিরতি পাস পেয়ে ডান পায়ের শটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন তিনি। গোলবন্যার শুরুটা এখান থেকেই।
এগিয়ে গিয়ে আরও আত্মবিশ্বাসী ফুটবল উপহার দেয় পিএসজি। মুহুর্মুহু আক্রমণে রেড স্টার বেলগ্রেডকে কোণঠাসা করে ফেলে দলটি। সাফল্য হাতেনাতে ধরা দেয়। বিরতির আগে মাত্র ৪ মিনিটের ব্যবধানে দুবার বল ঠিকানায় পাঠিয়ে জয়ের হিসাব-নিকাশ চুকিয়ে ফেলেন দ্য পারিসিয়ানরা। ৩৭ মিনিটে ডি-বক্সে দুজনকে কাটিয়ে নিশানাভেদ করেন কাভানি। আর ৪১ মিনিটে গোলমুখে টমা মুনিয়ের বাড়ানো ক্রসে চোখ ধাঁধানো ফ্লিকে লক্ষ্যভেদ করেন ডি মারিয়া।
বিরতির পরও আক্রমণের গতি অব্যাহত থাকে পিএসজির। প্রথম ১০ মিনিটে আরও দুটি গোল পেতে পারত দলটি। তবে নেইমার ও এমবাপ্পের ঝড়োগতির শট দারুণ দক্ষতায় রুখে দেন প্রতিপক্ষ গোলপ্রহরী মিলান বোরিয়ান। ফলে ব্যবধান বাড়েনি। কিন্তু তা বাড়তেও সময় লাগেনি। ৬৯ মিনিটে গোল উৎসবে যোগ দেন এমবাপ্পে। হুয়ান বের্নাতের পাস ডি-বক্সে পেয়ে অনায়াসে জালে ঠেলে দেন ১৯ বছরের বিস্ময়।
নেইমারের হ্যাটট্রিক পূরণের গোলটি ছিল আরও দুর্দান্ত। ৮১ মিনিটে ২৫ গজ দূর থেকে রক্ষণপ্রাচীরের ওপর দিয়ে বাঁকানো শটে ডান কোনা দিয়ে ঠিকানা খুঁজে নেন তিনি। চেয়ে দেখা ছাড়া কিছুই করার ছিল না গোলকিপারের। এর আগে ৭৪ মিনিটে গোল করেন রেড স্টার বেলগ্রেডের মারিন। তা কেবল হারের ব্যবধানই কমিয়েছে সার্বিয়ান ক্লাবটির।
Comments are closed.