দাগনভূঁঞার ফখরুল হত্যার প্রধান আসামী পারভেজ গ্রেফতার

280

 

ফেনী জেলার দাগনভূঁঞা স্বেচ্ছাসেবকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল উদ্দিন চৌধুরী (২৭) হত্যা মামলার প্রধান আসামী শীর্ষ সন্ত্রাসী সাইদুল হক পারভেজ (৩০) কে গ্রেফতার করেছে পিবিআই (পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন)। সোমবার গভীররাতে দাগনভূঁঞা উপজেলার ইয়াকুবপুর ইউনিয়নের দুধমুখার মোহাম্মদনগর এলাকায় পিবিআই’র এসআই জাহাঙ্গীর আলম অভিযান চালিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করেন।
পিবিআই ফেনী জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

উল্লেখ্য, চলতি বছরের ১৯ জানুয়ারি দিনগত রাতে ফেনীর দাগনভূঁইয়া পৌর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ফখরুল উদ্দিন চৌধুরীকে বাসা থেকে ডেকে নিয়ে ধারালো অস্ত্র দিয়ে চোখ উপড়িয়ে ও গলাকেটে নৃশংসভাবে হত্যা করে। এর আগে তারা ফখরুলের মটরসাইকেলটি নিয়ে যায় এবং ৪০ হাজার টাকা চাঁদা দাবী করে। চাঁদার টাকা না দেয়ায় পারভেজের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা একাধিকবার ফখরুল চৌধুরীকে মারধর করে।
ঘটনারদিন রাতে সংঘবদ্ধ সশস্ত্র সন্ত্রাসীরা ফখরুলকে ঘুম থেকে ডেকে ওঠিয়ে বলে ১০ হাজার টাকা দিলে মটরসাইকেল ফেরত দেব। সে ঘুম থেকে তার মাকে উঠিয়ে ১০ হাজার টাকা নিয়ে সামনে গেলে সন্ত্রাসীরা একটি মাইক্রোবাসে তুলে নেয় ফখরুলকে। দাগনভূঁঞা বাজার ক্রস করেই গাড়ীর ভিতর সন্ত্রাসীরা ফখরুলকে বেঁধে চোখ উপড়ে ফেলে এবং গলাকেটে হত্যা করে দাগনভূঁঞা – ফেনী মহাসড়কের পাশে লাশ ফেলে পালিয়ে যায়। পরদিন সকালে পুলিশ লাশ উদ্বার করলে পরিবারের লোকজন তার লাশ সনাক্ত করে। দাগনভূঁয়ার আলোচিত হত্যাকান্ডে পরিবার পরিজনসহ দলমত নির্বিশেষে হাজার হাজার মানুষের মনে তীব্র নিন্দার ঝড় ওঠে।

নিহত ফখরুলের ৩ ভাই প্রবাসী। দুইদিন লাশ ফ্রিজিং রেখে ইটালী প্রবাসী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী দেশে এলে তার জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। জানাজায় বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার হাজার হাজার জনতা অংশ নেন। পরে ফখরুলের বোন থানায় হত্যা মামলা করতে গেলে দাগনভূঞার কয়েকজন জনপ্রতিনিধি ও হত্যাকারীরা প্রকাশ্যে থানায় হাজির হয়ে মামলা করতে বাধা দেয়।

ভাই হত্যার মামলা ও জড়িত চিহুিত সন্ত্রাসীদের গ্রেফতারের দাবীতে প্রবাসী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী প্রধানমন্ত্রী – স্বরাষ্ট্র মন্ত্রীর সাথে দেখা করলে দাগনভূইয়া থানা মামলা গ্রহণ করে। এরপর শুরুহয় ফেনীর একজন সংসদ সদস্য, উপজেলা চেয়ারম্যান, ভাইসচেয়ারম্যান হত্যাকারীদের ভাই সাইফুল রাসেলের নতুন মিশন। থানা প্রশাসন হত্যাকারীদের ধরতে পারবেনা। সন্ত্রাসীদের আবারো হুমকি !! এক অনিশ্চয়তায় ভুগতে থাকে শোকাছন্ন নিহতের পরিবার পরিজন।
কয়েকদিনের মধ্যেই হত্যামিশনের সহযোগী বাহাদুর হিরো গ্রেফতারের মাধ্যমে ঝট খুলতে লাগলো। হত্যায় জড়িত হিরো বাহাদুরের জবানবন্ধীর ভিত্তিতে পুলিশ উদ্ধার করে নিহত ফখরুলের মটর সাইকেল, হত্যার ঘটনায় ব্যবহৃত চুরি, মাইক্রোবাস, ফাঁসির রশি ও মোবাইল ফোন।
হত্যার ঘটনায় দাগনভূইয়া পৌর যুবলীগের সহ সম্পাদক ছায়দুল হক পারভেজকে প্রধান আসামি ও হিরো, বাহাদুর, দাগনভূইয়া পৌরসভার প্যানেল মেয়র সাইফুল ইসলাম তার বড় ভাই আজিজুল হক রাসেল, শামীম ও মুজাহিদ নামে আরো দুই যুবককে এজহারে অন্তর্ভূক্ত করা হয়। মামলায় আরো অজ্ঞাত ১০-১২ জনকে আসামি করা হয়।
হত্যা মামলায় সবাই গ্রেফতার হলেও প্রধান আসামী পারভেজ দীর্ঘদিন পালিয়ে বেড়ায়। লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডে জড়িতদের গ্রেফতার এবং বিচারের দাবীতে সামাজিকযোগাযোগ মাধ্যমে ঝড় ওঠে। ফখরুলের ভাই প্রবাসী নাজিম উদ্দিন চৌধুরী আলোচিত ভাই হত্যায় জড়িতদের নানা কর্মকান্ডের ঘোমর ফাঁককরে দেন লাইভে এসে। এরপর পুরোপরিবারকে হত্যার হুমকি দেয় প্রভাবশালী চক্রটি।
প্রধানমন্ত্রীর দপ্তর, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রী, আইজিপিসহ একাধিক গোয়েন্দা সংস্হার প্রতিনিধি তদন্তে মাঠে নামেন। কিন্তু শীর্ষ সন্ত্রাসী পারভেজ প্রশাসনের নাকের ডগায় বীরদর্পে ঘুরে বেড়াতো অদৃশ্য ছায়ার জোরে। শেষপর্যন্ত আলোচিত হত্যা মামলাটি পিবিআইতে হস্তান্তর হয়। পিবিআই দীর্ঘদিন প্রধান আসামীকে গ্রেফতার করতে অভিযান চালিয়ে ব্যর্থ হয়।
সোমবার রাতে পিবিআইয়ের টোবে আটকে যায় পারভেজ। বর্তমানে সন্ত্রাসী পারভেজকে ফেনী পিবিআইয়ের হেফাজতে জিজ্ঞাসাবাদ চলছে।

আরও পড়ুন

তাদের উদ্ধার করে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক স্ত্রীকে মৃত ঘোষণা করেন।

চাটখিলো স্বামী-স্ত্রীর একসঙ্গে বিষপান, স্ত্রীর মৃত্যু

মিছিলে সাইমুম শিল্পগোষ্ঠীর সাবেক সঙ্গীত পরিচালক দিদারুল ইসলাম, সাবেক সহকারী পরিচালক একে জিলানী ও শিল্পী ওমর ফারুকসহ দেশের বিখ্যাত কয়েকজন ইসলামিক সংগীতশিল্পী অংশগ্রহণ করেন৷

চাটখিলে সুলতানী আমলের রীতিতে ঈদ মিছিল

মো: জসিম উদ্দিন বলেন, আমি এ গ্রামেরই সন্তান তাই যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রামের মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

চাটখিলে শিল্পপতি জসিম উদ্দিনের কম্বল বিতরণ

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, আমরা চাই বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র ফিরে আসুক।

আমরা চাই বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র ফিরে আসুক: ব্যারিস্টার খোকন

Comments are closed.