‘তিতলি’র প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টি
ঘূর্ণিঝড় তিতলির প্রভাবে দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টিপাত ও ঝড়ো হাওয়া বয়ে যাচ্ছে। এদিকে, আবহাওয়া অধিদফতর চট্টগ্রাম, কক্সবাজার, মোংলা ও পায়রা সমুদ্রবন্দরকে চার নম্বর হুঁশিয়ারি সংকেত দেখিয়ে যেতে বলা হয়েছে। সকাল থেকে চট্টগ্রাম, কক্সবাজার ও কুয়াকাটাতেও বৃষ্টিপাত হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার সকালে মোংলা বন্দরের বৃষ্টি থাকলেও ১০ টার পর তা বন্ধ হয়। তবে বন্দরে অবস্থানরত ২০টি বানিজ্যিক জাহাজের পন্য খালাস বন্ধ রয়েছে।
মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের হারবার মাস্টার কমান্ডার জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় সর্তকতার কারণে বিদেশি জাহাজ নির্গমন বন্ধ রাখা হয়েছে। পাশাপাশি বন্দরের বহিনোঙরে অবস্থানরত সব জাহাজ গুলোকে নিরাপদে অবস্থান নেয়ার নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
দিকে, সুন্দরবন বিভাগীয় বন কর্মকর্তা জানান, বুধবার বিকেলের মধ্যেই সুন্দরবনে আসা সব পর্যটক ও বন বিভাগের সব কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।
আবহাওয়া অধিদফতরের বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়েছে, ঘূর্ণিঝড়ের কারণে উত্তর বঙ্গোপসাগর ও গভীর সাগরে অবস্থানরত সব মাছ ধরার নৌকা, ট্রলারকে পরবর্তী নির্দেশ না দেয়া পর্যন্ত নিরাপদ আশ্রয়ে থাকতে বলা হয়েছে।
আবহাওয়াবিদ ওমর ফারুক বলেন, ঘূর্ণিঝড় তিতলি নিয়ে বাংলাদেশের মানুষের আতঙ্ক বা ভয়ের কোনো কারণ নেই। ভোর থেকে ঘূর্ণিঝড়টি গোপালপুরের কাছ দিয়ে ভারতের ওডিশা-অন্ধ্র উপকূল অতিক্রম করতে শুরু করেছে। এর প্রভাবে আাগামী শনিবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পরে। বিশেষ করে ফরিদপুরসহ দক্ষিণাঞ্চলে মেঘলা আবহাওয়াসহ মাঝারি থেকে ভারি বর্ষণ হতে পারে।
ওমর ফারুক বলেন, এই সাইক্লোনটির তীব্রপ্রভাব বাংলাদেশের ওপর তেমন পরবে না। কারণ সাইক্লোনটি হ্যারিকেনের তীব্রতা থাকলেও, সেটি সিনিয়র সাইক্লোন। এর পরে সাইক্লোন পরে স্থল নিম্নচাপ হয়ে পরবে। তিতলি এখন যে পজিশনে আছে বাংলাদেশের দিকে নিম্নচাপের প্রভাব থাকবে।
Comments are closed.