চাটখিলে রাতের অন্ধকারে কলেজ ছাত্রকে সন্ত্রাসীদের ছুরিকাঘাত
নোয়াখালীর চাটখিল পাঁচগাঁও সরকারি মাহাবুব কলেজের উচ্চমাধ্যমিক পড়ুয়া এক ছাত্রের উপর সন্ত্রাসীদের নৃশংস হামলার ঘটনা ঘটেছে, হামলায় আহত সালমান হোসেনের শারীরিক অবস্থা গুরুতর।
চাটখিল উপজেলার ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের আমিরথী গ্রামে রবিবার রাত ১১টায় সন্ত্রসীরা এই হামলা চালায়। হামলার শিকার মো: সালমান হোসেন (২৪) আমিরথী গ্রামের ইয়াকুব আলী পন্ডিত বাড়ির মো: সেলিম হোসেনের ছেলে।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, রবিবার রাত ১১টায় সালমন তার নিজ বাড়ির রাস্তার দিকে হাঁটাচলা অবস্থায় ৫-৬ জন মুখোশধারী সন্ত্রাসী হাতে ধারালো ছুরি, খুর, গুলি, কাঠের বাটাম, লাঠিসোটা নিয়ে তাঁর পথচলা অবরুদ্ধ করে এলোপাথাড়ি মারধর শুরু করে, এক পর্যায়ে মাথায় আঘাত করলে সালমান রাস্তায় পড়ে যায় এবং সন্ত্রসীরা ধারালো খুর-ছুরি দিয়ে তার হাতে, পিঠেসহ শরীরে ৫-৬ জায়গায় আঘাত করে এবং প্রচন্ড রক্ত ক্ষরণ হয়, এই সময় সন্ত্রসীরা সালমানের পকেটে থাকা মোবাইলসহ নগদ টাকা-পয়সা হাতিয়ে নিয়ে চলে যায়। পরবর্তীতে সালমানের সহপাঠীরা তাকে গুরুতর আহত অবস্থায় চাটখিল সরকারি হাসপাতালে ভর্তি করায়।
আহত সালমান হোসেনের মা হোসনেয়ারা বেগম (৪০) বলেন,তার ছেলের সাথে পাশের গ্রামের জান্নাতুল ফেরদাউস নামে এক মেয়ে একই কলেজে পড়ালেখা করতো। সালমান এবং জান্নাতুলের একপর্যায়ে প্রেমের সম্পর্ক হয়ে গেলে তারা গতবছর ২০ আগস্ট নোটারি পাবলিক করে বিবাহ করে কিন্তু জান্নাতুলের পরিবার এই বিবাহ কোনভাবেই মেনে নিতে রাজি হয় নাই, এই বিষয় নিয়ে তাদের সাথে আমাদের অনেক দিন থেকে বিরোধ চলে আসছিলে যার জের ধরে তারা আমার ছেলের উপর সন্ত্রাসী দিয়ে হামলা চালায়।
উক্ত ঘটনায় হামলার শিকার ভুক্তভোগী সালমান হোসেনের মা হোসনেয়ারা বেগম বাদী হয়ে ১৪ জুন রবিবার জান্নতুল ফেরদাউসের মা আয়েশা খাতুনসহ ৩ জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাতনামা ৪-৫ জনের বিরুদ্ধে চাটখিল থানায় একটি অভিযোগ দায়ের করেন।
উল্লেখ্য, অভিযুক্ত জান্নাতুল ফেরদাউস একই ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর মজুমদার বাড়ির মোঃ জাবেদ উল্লাহ ও আয়েশা খাতুনের মেয়ে। বিবাদীগণ ৫নং মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের দক্ষিণ মোহাম্মদপুর গ্রামের মজুমদার বাড়ির বাসিন্দা।
উক্ত ঘটনার বিষয়ে চাটখিল থানার সাব-ইনেসপেক্টর মোঃ জাকির হোসনের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, এই ঘটনায় থানায় একটি লিখিত অভিযোগ করা হয়েছে তবে এখনো কোন মামলা করা হয় নাই, বাদীরা হাসপাতালের প্রয়োজনীয় কাগজপত্র নিয়ে আসলে মামলা নেওয়া হবে।
Comments are closed.