চাটখিলে মামলার বাদীর বাড়িতে গুলি, এলাকায় আতঙ্ক
নোয়াখালী জেলার চাটখিল উপজেলার দশানী টবগা গ্রামের চৌরস্তায় গত ১৮ মার্চ সন্ধ্যায় ফার্নিচার ব্যবসায়ী যুবলীগ নেতা নুর আলমের পা ভেঙে ফেলার ঘটনায় মামলা বাদী নুর আলমের বড় ভাই ৭নং ওয়ার্ড যুবলীগের সাবেক সভাপতি সামছুল আলম লিটনের বাড়িতে গতকাল গভীররাতে সন্ত্রাসীরা গুলি চালানোর অভিযোগ পাওয়া গেছে। চাটখিল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আনোয়ার গুলির ঘটনাটি আজ সকালে তদন্ত করে ঘটনাস্থল থেকে এক রাউন্ড গুলির খোসা উদ্ধার করেন। জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় দশানী টবগা চৌরাস্তায় একদল সন্ত্রাসী ফার্নিচার ব্যবসায়ী নুর আলম (৩০) কে আক্রমণ করে হত্যার চেষ্টা চালায়। সন্ত্রাসী হামলায় তাঁর ডান পা ভেঙে যায় ও গুরুতর আহত হন আরো ২ জন। বর্তমানে নুর আলম ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। এ ব্যাপারে গত ১৯ এপ্রিল সামছুল আলম বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা ৫/৬ জনসহ ৩ জনকে আসামী করে চাটখিল থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার নং- ০৯/২০১৮। মামলা দায়েরের চারদিন অতিবাহিত হওয়ার পর নিশাত নামে একজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেন। অন্য অপরাধীরা প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন বলে পরিবারের অভিযোগ। মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, গত ১৮ এপ্রিল সন্ধ্যায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দশানী টবগা গ্রামের দুলা মিয়া পন্ডিত বাড়িতে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারি হয়। এতে সামছুল আলম লিটন (৪৫), রুমি (২০) ও মিজান (৩০) আহত হয়। গুরুতর আহত লিটন ও রুমিকে নিয়ে ফার্নিচার ব্যবসায়ী নুর আলম হাসপাতালে যাওয়ার পথে পূর্ব থেকে ওঁৎ পেতে থাকা নিশাত (২০) ও অজ্ঞাতনামা আরো ৫/৬ জন সন্ত্রাসী দশানী টবগা চৌরাস্তায় তাদের গাড়ি আটক করে দেশীয় অস্ত্র দিয়ে লিটন, রুমি ও নুর আলমকে আঘাত করে। এতে নুর আলমের ডা পা পুরোপুরি ভেঙে যায়। সেখান থেকে লোকজন তাদের নিয়ে চাটখিল উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে আসলে কর্তব্যরত ডাক্তার নুর আলমকে ঢাকাস্থ পঙ্গু হাসপাতালে রেফার করেন। বর্তমানে তিনি সেখানে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন। মামলার বাদীর বাড়িতে গুলির ঘটনায় এলাকায় চরম আতঙ্ক ও ক্ষোভ বিরাজ করছে।
Comments are closed.