চাটখিলের সৌদি প্রবাসী ব্যবসায়ীর দোকান থেকে সাড়ে ১৫ লক্ষ টাকা চুরি
টিটু খান বলেন আল-আমিনকে আমি অনেক বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু সে আমার সাথে এভাবে প্রতারণা করে আমার টাকা পয়সা চুরি করে পালিয়ে যাবে, তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি।
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার হাটপুকুরিয়া ঘাটলাবাগ ইউনিয়নের সৌদি প্রবাসী টিটু খান এর সৌদি আরবের আল জাওফ শহরে কফি শপের দোকান রয়েছে। ব্যবসা প্রতিষ্ঠানটিতে রয়েছে তার একাধিক কর্মচারী।
গত ১০ সেপ্টেম্বর চাটখিল উপজেলার বিনাইতলা গ্রামের আল আমিন নামক একটি ছেলেকে তার দোকানে কাজ দেয় টিটু খান। গত ৬ অক্টোবর (রোববার) আল আমিন টিটু খানের কফি শপের ক্যাশ বাক্সে রাখা বিগত ৭/৮ দিনের বিক্রিত টাকা খাম থেকে বের করে টাক গুলি চুরি করে পালিয়ে যায়। এছাড়াও আলামিন একটি আইফোন ১৫ প্রো-মেক্সও চুরি করে নিয়ে যায়।
প্রবাসী ব্যবসায়ী টিটু খান বলেন, গত প্রায় একমাস আগে আল আমিন নামক এই ছেলেটি আমার কাছে এসে সৌদি আরবে তার কষ্টের কথা বলে। আমি আমার এলাকার ছেলে কষ্টে আছে কোথাও কাজ পাচ্ছেনা একথা বিবেচনা করে তাকে আমার কফি শপে চাকরি দেই। আল আমিন কফি শপে বিশ্বস্ততার সাথে কয়েক দিন কাজও করে। গত রোববার আল আমিন কফি শপের ক্যাশ বাক্সে খামের ভিতর রাখা টাকাগুলো সব খুলে পকেটে নেয় এরপর রাতে বাসায় এসে আমার জমানো সব টাকা এবং আইফোন ১৫ প্রো-ম্যাক্স নিয়ে ৭ অক্টোবর পালিয়ে যায়।
টিটু খান আরো বলেন,আমি দোকান ভাড়া ও পার্টিদের দেওয়ার জন্য টাকা জমিয়েছিলাম। দোকানের সব হিসাব-নিকাশ এলাকার ছেলে হিসেবে আল আমিন দেখাশুনা করত। সে জানত কোথায় কত টাকা আছে। আল আমিন আমার সর্বমোট ৪৯ হাজার ২০০ রিয়াল নিয়ে পালিয়েছে,যা বাংলাদেশী টাকায় ১৫ লক্ষ ৭৪ হাজার টাকার মত।
তিনি বলেন আল-আমিনকে আমি অনেক বিশ্বাস করেছিলাম। কিন্তু সে আমার সাথে এভাবে প্রতারণা করে আমার টাকা পয়সা চুরি করে পালিয়ে যাবে, তা আমি কখনো কল্পনাও করিনি।
টিটু খান আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, আল আমিন যে কোনো সময় যে কোনোভাবে বাংলাদেশে চলে আসতে পারে। আল আমিনের বিষয়ে সৌদি আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে আমি অবহিত করেছি। গোপনে আল আমিন দেশে আসলে তাকে কোথাও দেখা গেলে সংশ্লিষ্ট আইন প্রয়োগকারী সংস্থাকে অবহিত করার জন্য সকলের কাছে আহ্বান জানিয়েছেন চাটখিলের প্রবাসী ব্যবসায়ী টিটু খান।
Comments are closed.