চাঞ্চল্যকর শিশু নুশরাত হত্যা নিয়ে কি বললো ঘাতক রুবেল?
রামগঞ্জে চাঞ্চল্যকর শিশু নুশরাত (৮) হত্যা মামলার প্রধান আসামী শাহ আলম রুবেল( ২৫) অবশেষে আটক হয়েছে পুলিশের হাতে।
গতকাল রবিবার সন্ধ্যায় খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের সহযোগিতায় রামগঞ্জ থানা পুলিশ ঘাতক শাহ আলম রুবেলকে আটক করতে সক্ষম হয়।
আজ সোমবার সকালে লক্ষ্মীপুর জেলা পুলিশ সুপার আ.স.ম মাহতাব উদ্দিন সাংবাদিক সম্মেলনে জানান, ২৩ মার্চ শুক্রবার দুপুরের আগে একই বাড়ির সিরাজ মিয়ার ছেলে শাহ আলম রুবেল বাড়ির সম্পর্কিত ভাতিজি নুশরাত জাহান নিশুকে আইসক্রীম খাওয়ার কথা বলে ঘরে ডেকে নেয়। ধর্ষণ শেষে হত্যা করে লাশ ব্যাগে ভরে ঘরের স্টীলের আলমিরার উপর রেখে দেয়। সন্ধ্যার পর রুবেলের বন্ধু স্থানীয় নোয়াগাঁও বাজারের ব্যবসায়ী বোরহানকে দিয়ে সিএনজি অটোরিকশা ভাড়া করে দুজন ব্যাগভর্তি লাশ নিয়ে তিন কিলোমিটার দূরের কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া ঠাকুর বাড়ির ব্রীজের নিচে ফেলে দেয়।
২৬ মার্চ সকাল ১১টায় তার লাশ উদ্ধার করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ। রাতেই নিহত নুশরাতের মা রেহানা বেগম রামগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করলে হত্যাকারীদের গ্রেফতারে পুলিশ বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়েও ব্যর্থ হয়। পরবর্তিতে লাশের সাথে ব্যাগের লিফলেট প্রচারণা চালায় পুলিশ।
বিষয়টি সিএনজি চালক মো. রাকিব হোসেন জানতে পেরে স্থানীয় চেয়ারম্যান ইউপি মোহাম্মদ হোসেন রানাকে ঘটনাটি তার অজ্ঞাতে হয়েছে বলে নিশ্চিত করলে পুলিশকে ঘটনাটি খুলে বলা হয়।
পুলিশ সিএনজি চালকের সূত্র ধরে আটক করে শাহ আলম রুবেলের বন্ধু বোরহান উদ্দিনকে। পরে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে অবশেষে মোবাইল ট্র্যাকিংয়ের মাধ্যমে খুলনা থেকে ঢাকা যাওয়ার পথে শাহ আলম রুবেলকে আটক করতে সক্ষম হয়।
উল্লেখ্য যে, গত ২৩ মার্চ শুক্রবার উপজেলার নোয়াগাঁও ইউনিয়নের পশ্চিম নোয়াগাঁ গ্রামের কালা মেস্ত্রী বাড়ির প্রবাসী এরশাদ মিয়ার মাদ্রাসা পড়–য়া ৮ বছরের শিশু কন্যা নিখোঁজ হয়। নিখোঁজের তিনদিন পর ২৬ মার্চ সকাল সাড়ে ১১টায় পাশ্ববর্তি কাঞ্চনপুর ইউনিয়নের ব্রহ্মপাড়া গ্রামের ঠাকুর বাড়ির সামনের ব্রীজের নিচ থেকে শিশু নুশরাতের অর্ধগলিত বস্তা ও ব্যাগভর্তি লাশ উদ্ধার করে রামগঞ্জ থানা পুলিশ।
এদিকে শিশু নুশরাত হত্যাকান্ডের সাথে জড়িত মূল হোতা রুবেল পুলিশের হাতে গ্রেফতার হওয়ায় উপজেলাব্যাপী আনন্দের বন্যা দেখা দেয়। রামগঞ্জ থানার সামনে তার ফাঁসির দাবিতে বিক্ষোভ মিছিল করে স্থানীয় লোকজন।
Comments are closed.