খাদ্যমন্ত্রীর জামাতা নোয়াখালীর ডা. রাজন কর্মকারের রহস্যজনক মৃত্যু, বিচার দাবীতে নোয়াখালীতে বিক্ষোভ
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক এবং খাদ্যমন্ত্রী সাধন মজুমদারের জামাতা রাজন কর্মকারের (৩৯) রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। নিহতের নোয়াখালীর পরিবারের অভিযোগ (স্ত্রীর বিরুদ্ধে) তাকে পরিকল্পিতভাবে হত্যা করা হয়েছে।
শনিবার (১৭ মার্চ) রাতের কোনো এক সময়ে তার মৃত্যু হয় বলে জানা গেছে।
নিহতের স্বজনরা জানান, শনিবার (১৭ মার্চ) গ্রিন লাইফ হাসপাতালে প্রাইভেট প্র্যাকটিস শেষে রাত ১২টায় বাসায় ফেরেন ডা. রাজন। রাত সাড়ে ৩টায় নিহতের মাকে ফোন করে তার স্ত্রী কৃষ্ণা মজুমদার জানান, রাজন রাতে মারা যাবে। পরে তারা জানতে পারেন, রাজনকে রাতে স্কয়ার হাসপাতালে নিলে, চিকিৎসক তাকে মৃত ঘোষণা করেন। নিহত চিকিৎসকের স্ত্রী খাদ্য মন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদারের মেয়ে।
নিহতের চাচাত ভাই অভি বলেন, রাজন ভাইয়ের সঙ্গে তার স্ত্রীর সম্পর্ক খারাপ যাচ্ছিল। এর আগে একাধিকবার তাকে মারধর করা হয়েছিল। এ জন্য আমাদের সন্দেহ তাকে হত্যা করা হয়ে থাকতে পারে। আমরা তার লাশের ময়নাতদন্ত করাতে চাই।
রাজন কর্মকার বিএসএমএমইউ ডেন্টাল বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক। তার স্ত্রী একই বিশ্ববিদ্যালয়ের সার্জারি বিভাগের সহকারী অধ্যাপক।
রাজনের সহকর্মী বিএসএমএমইউয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. ওমর ফারুক বলেন, রাজন হত্যার বিচার চাই। আমার জানা মতে, রাজনের কোনো শারীরিক অসুস্থ্যতা ছিল না। আমরা জেনেছি, আগে থেকেই তার পারিবারিক কলহ ছিল। আমরা মরদেহের ময়নাতদন্ত চাই।
এ বিষয়ে শেরেবাংলা নগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) জানে আলম বলেন, আমরা ঘটনা শুনেছি। তবে এখন পর্যন্ত মন্ত্রীর পরিবার অথবা নিহতের পরিবার থেকে কেউ অভিযোগ করেনি। আমাদের একটি টিম স্কয়ার হাসপাতালে আছে। তাদের সঙ্গে নিহতের পরিবারের কথা হয়েছে। তারা আমাদের টিমের কাছে একটা অভিযোগ জানাবে বলে শুনেছি।
বিএসএমএমইউর উপাচার্য অধ্যাপক ডা. কনক কান্তি বড়ুয়া বলেন, আমি রাজন কর্মকারের মৃত্যুর খবরটি শুনেছি। তাকে হাসপাতালে দেখতে গিয়েছিলাম। আমার এখানে তার বাবা ও মামা এসেছিলেন। তার বাবা অভিযোগ করেছেন, এটি একটি হত্যাকাণ্ড। তারা মৃতদেহের ময়নাতদন্তের দাবি জানিয়েছেন।
জানা যায়, রাজন কর্মকার চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের অষ্টম ব্যাচের (বিডিএস) ছাত্র ছিলেন। তার গ্রামের বাড়ি নোয়াখালী জেলার বেগমগঞ্জের এখলাসপুর। তার বাবার নাম সুনীল কর্মকার।
Comments are closed.