ক্রাইস্টচার্চের ‘খুনির’ মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ
নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুটি মসজিদে ৫০ জনকে হত্যা মামলার প্রধান আসামি ব্রেন্টন ট্যারেন্টের মানসিক স্বাস্থ্য পরীক্ষার নির্দেশ দিয়েছেন আদালত।আজ শুক্রবার সকালে নিউজিল্যান্ডের উচ্চ আদালতের বিচারক ক্যামেরন ম্যান্ডার এ আদেশ দেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানা যায়।বিচারক ম্যান্ডার বলেছেন, আসামি আদালতে বিচারকাজে দাঁড়ানোর জন্য উপযুক্ত কিনা, সেটি বিশেষজ্ঞরা পরীক্ষা করে দেখবেন।আসামির মানসিক স্বাস্থ্য উপযুক্ত কিনা, তার জন্য দুটি পরীক্ষা করা হবে বলেও জানিয়েছেন বিচারক।আসামি ট্যারেন্টকে জেলখানা থেকে ভিডিওর মাধ্যমে কোর্টে উপস্থাপন করা হয়। ভিডিও কনফারেন্সটি এমনভাবে করা হয়েছে, যেন আসামি শুধুমাত্র বিচারক ও আইনজীবীদের দেখতে পান। এ ছাড়া সাধারণ গ্যালারি থেকে ভিডিও ক্যামেরাটি দূরে রাখা হয়।
আগামী ১৪ জুন আসামি ট্যারেন্টকে আবারও কোর্টে হাজির করা হবে। সে পর্যন্ত তাঁকে হাজতে রাখার নির্দেশ দিয়েছেন বিচারক।
আসামি ব্রেন্টন ট্যারেন্টের বিরুদ্ধে ৫০ জনকে হত্যা ও ৩৯ জনকে হত্যাচেষ্টার অভিযোগ আনা হয়েছে।নিউজিল্যান্ডের ইতিহাসে এটি সবচেয়ে ভয়াবহ হত্যাযজ্ঞের ঘটনা।গত ১৫ মার্চ অস্ট্রেলিয়ার নাগরিক ব্রেন্টন ট্যারেন্ট নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চের দুই মসজিদে নির্বিচারে গুলি করেন। এতে ৫০ জন নিহত হন। নিহতদের মধ্যে পাঁচজন বাংলাদেশি রয়েছেন। এই হত্যাকাণ্ডের পরই নিউজিল্যান্ডের পুলিশ ট্যারেন্টকে আটক করে।সে সময় টেস্ট সিরিজ খেলার জন্য নিউজিল্যান্ডে ছিল বাংলাদেশ ক্রিকেট দল। ওই দুই মসজিদের একটিতে জুমার নামাজ আদায়ের জন্য রওনা দেন তামিম-মুশফিকরা। কিন্তু মাঝপথে এক নারী তাঁদের সাবধান করে দেন। পরে ক্রিকেটাররা দ্রুত হোটেলে ফিরে যান।