কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য পুরস্কার পেলেন কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়ের
‘মুক্তিযুদ্ধের চেতনায় জেগে ওঠো বাংলাদেশ’ এই স্লোগানকে সামনে রেখে কবিসংসদ বাংলাদেশ আয়োজিত ১০ম বাংলা সাহিত্য সম্মেলন গত ২৭ এপ্রিল বিকাল ৪টায় পটুয়াখালীর পর্যটন ইউথ কনফারেন্স হলে অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানটিতে উদ্বোধক ছিলেন শিশু সাহিত্যিক রফিকুল হক দাদুভাই (ফিচার সম্পাদক, যুগান্তর), প্রধান অতিথি ছিলেন পটুয়াখালী জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মো. খলিলুর রহমান মোহন, বিশেষ অতিথি ছিলেন বাংলাদেশ আওয়ামী যুবলীগের কেন্দ্রীয় সহসম্পাদক শামীম আল সাইফুল সোহাগ, কুয়াকাটা পৌরসভার মেয়র বারেক মোল্লা ও বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বিশিষ্ট কবি, ছড়াকার, গল্পকার ও লেখকবৃন্দ। কবিতায় অসামান্য অবদানের জন্য ‘কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৮’ প্রদান করা হয়-আবুল খায়েরকে (কবি ও কলামিস্ট)। সাহিত্যের বিভিন্ন শাখায় (কবিতা, ছড়া, গল্প, উপন্যাস, গীতিকাব্য) অবদানের জন্য মোট ৫ জনকে ‘কবি জীবনানন্দ দাশ সাহিত্য পুরস্কার-২০১৮’ (পদক) দেয়া হয়। এছাড়া এবছর ‘কবি সালাম রেজা’ পদক দেয়া হয় ৪ জন সাংবাদিককে। অনুষ্ঠানে সাহিত্যের ওপর বিশদ আলোচনা এবং স্বরচিত কবিতা পাঠ করেন দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে আগত বরেণ্য কবি ও লেখকগণ। সাহিত্য অনুরাগী ছাড়াও উক্ত অনুষ্ঠানে স্থানীয় অনেক গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন কবি তৌহিদুল ইসলাম কনক।
উল্লেখ্য কবি ও কলামিস্ট আবুল খায়ের নোয়াখালীর জেলার আওতাধীন সেনবাগ উপজেলার পূর্ব মোহাম্মদপুর গ্রামে ১৯৭৬ সালে জন্মগ্রহণ করেন। বাবার নাম মো. ইসহাক ও মায়ের নাম শামসুন্নাহার বেগম। তিনি পরিবারের দ্বিতীয় সন্তান। বর্তমানে তিনি একটি আন্তর্জাতিক সেচ্ছাসেবী সংস্থায় কর্মরত আছেন। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন পেশার মানুষের সাথে কাজ করার সুযোগ পেয়েছেন। সমাজের নানান বৈষম্য ও নৈতিক স্খলন তাঁর লেখার উপজীব্য। কিভাবে সামাজিক অবক্ষয় ও নৈতিক চরিত্রের অবনতি ক্রমন্বয়ে সমাজকে কলুষিত করছে, সেটাই তিনি বলার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন তাঁর লেখনির মাধ্যমে। তাঁর লেখা সমসাময়িক প্রবন্ধ, গল্প, ছড়া ও কবিতা বিভিন্ন লিটলম্যাগ, ম্যাগাজিন ও দৈনিক পত্রিকাসমূহে নিয়মিতভাবে প্রকাশিত হচ্ছে। স্থানীয় ও জাতীয় পত্রিকা ছাড়াও অনলাইন পত্রিকায় দেশে ও বিদেশে ইতিমধ্যে সুনাম কুড়িয়েছেন।
Comments are closed.