কক্সবাজারে আধা ঘণ্টায় দুই ‘বন্দুকযুদ্ধে’ চারজন নিহত
কক্সবাজারে আধা ঘণ্টার ব্যবধানে পৃথক দুটি ‘বন্দকযুদ্ধে’ দুজন করে চারজন নিহত হয়েছে। নিহতদের মধ্যে দুজন মিয়ানমারের রোহিঙ্গা নাগরিক। বাকি দুজন জলদস্যু বলে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী দাবি করেছে।এর মধ্যে আজ বুধবার ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে টেকনাফ উপজেলার খারাংখালী এলাকায় বিজিবির সঙ্গে রোহিঙ্গা মাদক ব্যবসায়ীদের ‘বন্দুকযুদ্ধ’ হয়। এরপর সেখান থেকে দুজনের মরদেহ ও এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করে বিজিবি।
এর ঠিক আধা ঘণ্টা পর ভোর ৫টার দিকে পেকুয়া উপজেলার মগনামা ঘাট এলাকায় র্যাবের সঙ্গে জলদস্যুদের ‘বন্দুকযুদ্ধের’ ঘটনা ঘটে। এরপর সেখান থেকে দুজনের মরদেহ এবং দেশীয় তৈরি আটটি বন্দুক ও ২৬টি গুলি উদ্ধার করা হয়। নিহত জলদস্যুদের পরিচয় জানাতে পারেনি র্যাব।
টেকনাফে বিজিবির ২ নম্বর ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার জানিয়েছেন, ভোর রাত সাড়ে ৪টার দিকে খারাংখালী নাফ নদ সীমান্ত পয়েন্ট দিয়ে দুজন ব্যক্তি মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশের অভ্যন্তরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। এ সময় কর্তব্যরত বিজিবির সদস্যরা বাধা দিতে গেলে তারা বিজিবিকে লক্ষ্য করে গুলি ছুঁড়ে। এতে আত্মরক্ষার্থে বিজিবিও পাল্টা গুলি চালায়। এ ঘটনায় মিয়ানমারের দুজন রোহিঙ্গা নাগরিক ঘটনাস্থলে নিহত হয়েছে।।
পরে তল্লাশি চালিয়ে এক লাখ ৯০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। নিহতদের পরিচয় এখনও জানা যায়নি। দুটি মরদেহ টেকনাফ থানা পুলিশের মাধ্যমে ময়নাতদন্তের জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে বিজিবি বাদী হয়ে সংশ্লিষ্ট আইনে একটি মামলার প্রক্রিয়া করছে বলে জানিয়েছেন শরীফুল ইসলাম জোমাদ্দার।
র্যাব-১৫ কক্সবাজার কার্যালয়ের কোম্পানি অধিনায়ক মেজর মেহেদী হাসান জানিয়েছেন, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে র্যাবের একটি দল পেকুয়া উপজেলার মগনামা এলাকায় অভিযানে যায়। ভোর ৫টার দিকে একটি জলদস্যু বাহিনীকে ধাওয়া করলে র্যাবকে লক্ষ্য করে গুলি ছোঁড়ে জলদস্যুরা। র্যাব আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলি চালায়। র্যাব-জলদস্যু গোলাগুলির একপর্যায়ে জলদস্যুরা পিছু হটে পালিয়ে যায়। পরে ঘটনাস্থলে তল্লাশি চালিয়ে দেশীয় তৈরি আটটি বন্দুক ও ২৬টি গুলিসহ গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুজন জলদস্যুকে পাওয়া যায়। তাদের উদ্ধার করে পেকুয়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স হাসপাতালে নেওয়ার পথে মারা যান। মরদেহ দুটি ময়নাতদন্তের জন্য পেকুয়া থানা পুলিশকে হস্তান্তর করা হয়েছে। নিহত জলদস্যুদের পরিচয় শনাক্তের চেষ্টা চলছে।
Comments are closed.