এমপিও ভুক্তিকরণ না হওয়াই এখন পর্যন্ত মাদরাসাটির বড় সমস্যা
নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলা নাহারখিল ফয়জুন নেছা মহিলা দাখিল মাদরাসা শিক্ষার হার বৃদ্ধি, নারী শিক্ষা উন্নয়ন ও নারীদের নিরক্ষতা দূরীকরণে দীর্ঘদিন থেকে ব্যাপক ভূমিকা পালন করে আসছে। ২০০০ সালে প্রায় ৭৩ শতাংশ জমির উপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে নানা বাঁধা-বিপত্তি পেরিয়ে আঠারো বছরে যাত্রা করলো ‘ফয়জুন নেছা মহিলা দাখিল মাদ্রাসা’। রয়েছে পর্যাপ্ত একাডেমিক ভবন। নূরানী বিভাগ-আবাসিক-অনাবাসিক, হেফজ বিভাগ-সম্পূর্ণ আবাসিক ও দাখিল বিভাগ-অনাবাসিক মিলিয়ে বর্তমানে সর্বমোট মাদরাসায় ৪২৫ জন শিক্ষার্থী রয়েছে অথচ এদের জন্য শিক্ষক রয়েছেন মাত্র ১৫ জন। মাদরাসার বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নিয়ে জানতে চাইলে বড় আক্ষেপ নিয়ে সুপারিনটেডেন্ট (অধ্যক্ষ) মাওলানা মোহাম্মদ নুরুল হুদা বলেন, আমাদের মাদরাাসার বর্তমানে সবচেয়ে বড় সমস্যাটি হলো প্রতিষ্ঠানটি এমপিও ভুক্তিকরণ না করা! এর ফলে শিক্ষক-শিক্ষিকার বেতন দিতে পারছে না প্রতিষ্ঠান পরে তারা অন্যত্রে চলে যায়। ফলে আমাদের শিক্ষার্থী ও প্রতিষ্ঠান উভয় সমানভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে।
তাই আমি সরকারের সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের কাছে আকুল আবেদন করছি যে, আমাদের প্রতিষ্ঠানটি অতি শিগগির এমপিও ভুক্তিকরণের ব্যবস্থা করে নারী শিক্ষান্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখেন।
অন্যদিকে, বাল্যবিবাহ্ রোধ করতে আমি প্রশাসনের সু-নজর কামনা করছি। কারণ কিছুদিন আগে আমাদের নবম শ্রেণির ১৩ বছর সাত মাস বয়সী এক ছাত্রীকে বিয়ে দিয়ে দেন তার পরিবার। এভাবে চললে নারী শিক্ষার হার ক্রমান্নয়ে আরো নিচে নেমে আসবে। তাই আমি বাল্যবিবাহ্ রোধ করতে ও অভিভাবকদের বাল্যবিয়ের ক্ষতির দিকগুলো যেন বুঝানো যায় সেই ব্যবস্থা গ্রহণের অনুরোধ করছি। বাল্যবিবাহ্ রোধ ও ফয়জুন নেছা মহিলা দাখিল মাদরাসা এমপিও ভুক্তিকরণ হবে এমনটাই প্রত্যাশা সকলের।
Comments are closed.