ইতিহাস সেরা নগদ লভ্যাংশ দেবে ইসলামী ইন্স্যুরেন্স
শেয়ারহোল্ডারদের ইতিহাসের সেরা নগদ লভ্যাংশ দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে পুঁজিবাজারে তালিকাভুক্ত কোম্পানি ইসলামী ইন্স্যুরেন্স বাংলাদেশ লিমিটেড। ২০০৯ সালে বিমা খাতে তালিকাভুক্ত কোম্পানিটি জানুয়ারি থেকে ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত বছরে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ১২ দশমিক ৫০ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।
কোম্পানিটি সর্বশেষ পর্ষদ সভায় (২৯ মে) ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সমাপ্ত বছরের নিরীক্ষিত আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের এ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। এর ফলে কোম্পানিটির ৪ কোটি ১১লাখ ৬৫ হাজার ২১৫ শেয়ার সংখ্যার বিনিয়োগকারীরা পাবেন ১ টাকা ২৫ পয়সা করে। প্রতিষ্ঠানটি এর আগে ২০১৮ সালে শেয়ারহোল্ডারদের সর্বোচ্চ ১০ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিয়েছিল।
বিষয়টি নিশ্চিত করেছে কোম্পানির অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সচিব মজিবুর রহমান। তিনি বলেন, কোম্পানির বোর্ড সভায় ২০২১ সালের আর্থিক প্রতিবেদন পর্যালোচনা করে শেয়ারহোল্ডারদের সাড়ে ১২ শতাংশ লভ্যাংশ দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে।
তিনি বলেন, ২০২১ সালে কোম্পানিটির শেয়ারপ্রতি আয় (ইপিএস) হয়েছে ৩ টাকা ১১ পয়সা। আগের বছর ইপিএস ছিল ১ টাকা ৯৮ পয়সা। অর্থাৎ আগের বছরের চেয়ে ১ টাকা ১৩ পয়সা ইপিএস বেড়েছে।
সে হিসেবে বিদায়ী বছরের কোম্পানির মোট মুনাফা হয়েছে ১২ কোটি ৮০ লাখ ২৩ হাজার ৮১৮ টাকা। সেখান থেকে শেয়ারহোল্ডারদের নগদ ১ টাকা ২৫ পয়সা করে লভ্যাংশ দেওয়া হবে। বাকি টাকা কোম্পানির রিজার্ভে চলে যাবে। অর্থাৎ বর্তমানে কোম্পানির ৪ কোটি ১১ লাখ ৬৫ হাজার ২১৫টি শেয়ারের বিপরীতে বিনিয়োগকারীরা পাবেন ৫ কোটি ১৪ লাখ ৫৬ হাজার ৫১৮ টাকা।
অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক বলেন, পর্ষদ ঘোষিত লভ্যাংশ শেয়ারহোল্ডারদের সর্বসম্মতিতে অনুমোদনের জন্য কোম্পানির ২২তম বার্ষিক সাধারণ সভার (এজিএম) দিন নির্ধারণ করা হয়েছে আগামী ৬ আগস্ট। এর জন্য রেকর্ড তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ২০ জুন।
প্রতিবেদনে দেখানো হয়েছে, গত ৩১ ডিসেম্বর ২০২১ সময়ে কোম্পানি শেয়ারপ্রতি নিট সম্পদ মূল্য (এনএভিপিএস) ছিল ১৭ টাকা ৫১ পয়সা।
কোম্পানির তথ্য অনুসারে, ২০০৯ সালে তালিকাভুক্ত এই কোম্পানিটি ২০১০ থেকে ২০১৬ সাল পর্যন্ত টানা বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছে। এরপর ২০১৭ সাল থেকে বোনাস ও নগদ লভ্যাংশ দেওয়া শুরু করেছে। কোম্পানি তালিকাভুক্ত হওয়ার এক যুগের মধ্যে ২০১৭ সালে ৫ শতাংশ, ২০১৮ সালে ১০ শতাংশ এবং ২০১৯ সালে ৫ শতাংশ লভ্যাংশ দিয়েছে। সেই হিসেবে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ সাড়ে ১২ শতাংশ নগদ লভ্যাংশ দিল।
তবে নগদ ও বোনাস শেয়ারের লভ্যাংশ হিসেবে আট বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ লভ্যাংশ দিয়েছে। এর আগের ২০১৩ সালের কোম্পানিটি শেয়ারহোল্ডারদের ১৫ শতাংশ বোনাস শেয়ার লভ্যাংশ দিয়েছিল।
১৮ কোটি ৩২ লাখ টাকা রিজার্ভ সারপ্লাসে থাকা কোম্পানিটির শেয়ার আগের দিনের চেয়ে ২ টাকা ৪০ পয়সা বেড়ে রোববার (২৯ মে) সর্বশেষ লেনদেন হয়েছে ৪২ টাকা দরে। বৃহস্পতিবার (২৬ মে) শেয়ারটি লেনদেন হয়েছিল ৩৯ টাকা ৬০ পয়সাতে। নিয়ম অনুসারে আজ সোমবার (৩০ মে) কোম্পানির শেয়ারের দরে কোনো সার্কিট ব্রেকার থাকবে না।
Comments are closed.