আল্লামা শফি সাহেবদের ময়না তদন্ত

লেখাটি ঢাকা বিশ্ব বিদ্যালয়ের সাবেক শিক্ষার্থী ইলিয়াস হিমেলের ফেসবুক থেকে নেয়া

304
ইলিয়াস হিমেল

এখানে শফি সাহেবকে সিম্বল হিসেবে গ্রহন করা হয়েছে।উনার মাধ্যমে আমরা মুলত কওমী মাদ্রাসার ঐতিহাসিক বিকলাঙ্গকতাকেই বুঝার চেষ্টা করবো।তাহলে চলুন…

বৃটিশ ভারতে যখন বৃটিশরা কৌশলগত দিক থেকে কালচারাল রেভ্যুলুশনের উদ্দেশ্যে এ উপমহাদেশে বৃটিশ শিক্ষার সম্প্রচারে উঠে-পড়ে লেগে গেলো,যখন এদেশরই কতিপয় মুসলিম ও হিন্দু জমিদার বৃটিশদেরকে এ কাজে সর্বাত্বক সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিলো,স্যার সৈয়দ আহমদ খান,নবাব আবদুল লতিফ সহ কতিপয় বৃটিশ বেনিয়ান চামচা যারা বৃটিশদের উদ্দেশ্য সাধনে শিক্ষানুরাগির ভূমিকায় অবতীর্ণ হলো ঠিক সেই মুহুর্তে ভারতে দেওবন্দ মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠা করা হয় মুসলিম শিক্ষা ও সংস্কৃতিকে টিকিয়ে রাখার জন্য।

যদিও শুধু মাত্র শিক্ষার দিকটাকে প্রাধান্য দিয়ে এই মাদ্রাসার কারযক্রম চলতে থাকে ,কিন্তু যারা ইতিহাসের সাথে টুকটাক পরিচিত তারা ভাল করেই জানেন এই মাদ্রাসা প্রতিষ্ঠার পিছনে রাজনৈতি ও সামাজিক কারন কোন অংশেই কম ছিলনা।

কিন্তু প্রতিষ্ঠার কিছুদিন পর কওমী ধারার আলেমরা তাদের মুল লক্ষ্য থেকে পিছপা হয়ে ভীরুতা ও কাপুরুষতাকেই বেছে নেন।যার ফলশ্রুতিতে ভারতে আলিয়া মাদ্রাসার উদ্ভব ঘটে।

বৃটিশ ভারতে যখন খেলাফত আন্দোলন চলছিলো তখন এই আলেমরাই তুরস্কের রাজনৈতিক ও সামাজিক দিক বিবেচনা না করে শুধু মাত্র আবেগের তাড়নায় হাজার হাজার মুজাহিদকে তুরস্কে পাঠায়। এমনকি তখন যারা কওমী আলেমদের সিদ্ধান্তকে সমালোচনা করেছিলো তাদেরকে কাফের-মুরতাদ ও ইহুদীদের দালাল হিসেবে ঘোষণা করা হয়।কিন্তু কিছুদিন পর যখন তাদের খলিফা মুস্তফা কামাল পাশা সমস্ত ইসলামের উপর নিষেধাঙ্গা জারি করেন ঠিক তখনই কওমী ওলামাদের ঘুম ভাঙ্গে।আবেগীয় ইসলাম তাদের কাছে বুমেরাং হয়ে ফিরে আসে

ভারতে যখন কতিপয় ইসলামিস্ট ইসলামের স্বার্থে ইংরেজি শিক্ষাকে ইসলাম প্রচারের অন্যতম হাতিয়ার হিসেবে বুঝানোর চেষ্টা করে তখন এই আলেমরাই তাদেরকে কাফেরদের দালাল ঘোষণা করে।

কতিপয় বিচক্ষণ ইসলামিস্ট যখন রাজনীতিকে ইসলাম প্রচার ও ইসলামি হুকুমাত প্রতিষ্ঠার শ্রেষ্ঠ মাধ্যম বলে প্রচার করে তখন এরাই তাদেরকে ক্ষমতালোভি ও ইহুদীদের দালাল বলে প্রচার করতে থাকে।

ভেবে অবাক হবেন,কওমী আলেমরা আলিয়া মাদ্রাসাকে ঘৃণা করার অন্যতম কারন হলো আলিয়া মাদ্রাসা সরকারী সাহায্য সহযোগিতা ও সরকারি সার্টিফেকেট গ্রহন করে।আর এখন তারা এ দুটার জন্য শুকরানা মাহফিল পরযন্ত আয়োজন করে।কত বড় আহম্মক আর খামখেয়ালি ফতোয়াবাজ বলা যায় এদেরকে বলুন তো ?

টিভিতে আলোচনা করা ,কোরআন তেলাওয়াত করা,ওয়াজ করা,বাসায় টিভি রাখা এসব কিছুকে তারা কাফেরদের কাজের সাথে তুলনা করতেন।কিন্তু তারাই এখন এসব কাজের সাথে খুব ভালোভাবেই জড়িয়ে পড়েছেন।

৫ মে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে এরাই নাস্তিক সরকার ও নাস্তিকদের দোসর বলে প্রচার করেছিলো।সমগ্র দেশকে আওয়ামী সরকারের বিরুদ্ধে লেলিয়ে দিয়েছিলো।হাজার হাজার তরুনকে ঢাকায় এনে এই শফি সাহেব পলায়ন করেছিলো।এখন এই শফি সাহেবরাই মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,জননেত্রী শেখ হাসিনাকে কওমী জননী ঘোষণা দেন।কি অদ্ভত ইমান এই হুজুর গুলোর।

এই কওমী আলেমদের এহেন বেহাল দশা আর দিনে দিনে বদলে যাওয়ার চিত্র েএটা নতুন কিছু নয়।ঐতিহাসিক ভাবে প্রমানিত, কওমী হুজুররা সব হারানোর আগে কোন কিছুই সঠিকভাবে বুঝেননা।আল্লামা শফি সাহেব এর আপডেট সংকলন মাত্র

সে যাই হোক,মাননীয় প্রধানমন্ত্রী,অন্তত আপনার উচিত হয়নি এরকম ধোকাবাজ আর স্বার্থবাজ হুজুরদের কাছ থেকে কোন উপাধি গ্রহন করা ।

সময় অনেক কথা বলবে,অপেক্ষা করুন ।

 

আরও পড়ুন

মো: জসিম উদ্দিন বলেন, আমি এ গ্রামেরই সন্তান তাই যেকোনো দুর্যোগ মুহূর্তে আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী গ্রামের মানুষকে সহযোগিতা করার চেষ্টা করি।

চাটখিলে শিল্পপতি জসিম উদ্দিনের কম্বল বিতরণ

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা ও সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশন সভাপতি ব্যারিস্টার এ এম মাহবুব উদ্দিন খোকন বলেছেন, আমরা চাই বাংলাদেশের সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র ফিরে আসুক।

আমরা চাই বাংলাদেশে সত্যিকার অর্থে গণতন্ত্র ফিরে আসুক: ব্যারিস্টার খোকন

চাটখিল উপজেলা জামায়াতের উদ্যোগে চাটখিল পৌরবাজারের আজিজ সুপার মার্কেট প্রাঙ্গণে এই সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

চাটখিলে পল্টন ট্রাজেডি উপলক্ষে জামায়াতের বিশাল সভা

অভিযান শেষে যারা পুনরায় রাস্তা দখল করে ব্যবসা পরিচালনা করেছে ছবি দেখে সনাক্ত করে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

চাটখিলে পুনরায় রাস্তা ও ফুটপাথ দখল উচ্ছেদ অভিযান ও বাজার মনিটরিং

প্রতিষ্ঠানটির সহকারী প্রধান শিক্ষক মোঃ আব্দুল মান্নান কামরুল বলেন, 'মিঠু স্যার দীর্ঘদিন থেকে এখানে শিক্ষকতা করছেন। উনার বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ অতীতে আমরা কখনো শুনিনি।

চাটখিলে শিক্ষকের মুক্তির দাবিতে মানববন্ধন ও বিক্ষোভ, অবরুদ্ধ প্রধান শিক্ষক

Comments are closed.