আত্মহত্যা নয় খুন করা হয়েছে সোলায়মানকে, দাবি মায়ের
অদৃশ্য ভয়ে আতঙ্কে দিন কাটছে সোলায়মানের ভাইদের।
আত্মহত্যা নয়। শ্রীপুর নূরাণী মাদরাসার শিক্ষক সোলায়মান (২৭) —কে খুন করা হয়েছে বলে সরাসরি অভিযোগ জানালেন তাঁর বাড়ির লোকজন। এবং এই অভিযোগের জেরেই ওই শিক্ষকের অস্বাভাবিক মৃত্যুকে ঘিরে দানা বাঁধল বিতর্ক।
শুক্রবার সকালে নোয়াখালী জেলা চাটখিল উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নে নিজগৃহ থেকে তার মৃতদেহ উদ্ধার করে পুলিশ। মোহাম্মদ সোলায়মান (২৭) উপজেলার খিলপাড়া ইউনিয়নের শ্রীপুর গ্রামের একটি নূরানী মাদরাসায় শিক্ষকতা করতেন।
শনিবার সকালে ময়না-তদন্তের আগেই ওই শিক্ষকের মৃতদেহ দেখে তাঁর আত্মীয়েরা অভিযোগ করেন, সোলায়মানের দেহে বেশ কয়েকটি আঘাতের চিহ্ন রয়েছে। তাঁদের বক্তব্য, কেউ গলায় দড়ি দিয়ে ঝুলে পড়ে আত্মহত্যা করলে ঘাড়ে যে ধরনের গাঢ় দাগ থাকার কথা তা ছিলো না। তাঁদের আশঙ্কা, তাকে খুনের পর আত্মহত্যার নাটক সাজানো হয়েছে।
পুলিশ প্রাথমিকভাবে জানিয়েছিল, সম্ভবত আত্মহত্যা করেছেন মাদরাসা শিক্ষক সোলায়মান। কিন্তু পরিবার তা মানতে নারাজ। সোলায়মানের পরিবারের মতোই এক সুরে বন্ধু আয়ূব জানান,”আমরা মনে করি না, অত্যন্ত ধর্ম ভীরু, একজন সাদামাটা মনের মানুষ সোলায়মান আত্মহত্যা করেছে। পুলিশ ভালো করে তদন্ত করে দেখুক। আমাদের মনে হচ্ছে, তাঁর মৃত্যু ঘিরে একটা চক্রান্ত হয়েছে।”
এদিকে সোলায়মানের বড় ভাইদের দাবি, প্রতিদিনের মতই গভীর রাতে তাহাজ্জুদ নামাজের জন্য ওঠেন সোলায়মান, শুনেন তার উচ্ছস্বরে কথা বলার আওয়াজ। অথচ সকালে ঘুম থেকে ডেকে তুলে সোলায়মানের স্ত্রী বলেন আপনার ছোটভাই মারা গেছে। দৌড়ে তার ঘরে গিয়ে দেখি লাশ মাটিতে পড়ে আছে। গলায় রশি পেছানো,শরীরে কাদামাটি, নাক-মুখে ফেনা বের হচ্ছে। তার স্ত্রী জানায় আত্মহত্যা করেছে।
ছেলের মৃত্যুতে শোকে ভেঙে পড়েছেন সোলায়মানের মা। অশ্রুসিক্ত কন্ঠে সুষ্ঠু তদন্তের দাবি জানান তিনি৷
Comments are closed.