অপহরনের ৭ দিন পর চাটখিলের স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাইয়ের বস্তাবন্দি লাশ উদ্ধার, গ্রেফতার ৫
অপহরণের ৭ দিন পর বুধবার ভোরে নোয়াখালী জেলার চাটখিলের অমরপুর গ্রামের ৪ সিরাজ মেম্বারের বাড়ীর পাশে ডোবা থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ী নিতাই দেবনাথ (৪০) এর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিতাই দেবনাথ কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ উপজেলার আশিরপাড়া বাজারের স্বর্ণ ব্যবসায়ী। সে দেবীদ্বার উপজেলার নারায়ন দেবনাথের ছেলে। এ ঘটনায় জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ লাকসামে ৩ এবং চাটখিলে ২ জনকে গ্রেফতার করেছে। সকালে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে লাকসাম থানায় নিয়ে গেছে। এ ঘটনার পর খিলপাড়া অঞ্চলে লোকজনের মাঝে আতঙ্ক বিরাজ করছে।
জানা গেছে ৭ ফেব্রুয়ারী দোকান থেকে বাড়ী ফেরেনি নিতাই। নিতাইয়ের ভাই গোরাঙ্গ দেবনাথ সোমাবার লাকসাম থানায় একটি সাধারণ ডায়েরী করেন। পুলিশ এর সূত্র ধরে মঙ্গলবার লাকসাম থেকে ৩ জনকে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী লাকসাম থাকার অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ, ওসি তদন্ত আশরাফ হোসেন, এস আই মোবারক উল্লাহ চাটখিলে এসে থানা পুলিশের সহযোগিতা এস আই জসিম উদ্দিনকে নিয়ে অভিযান চালিয়ে শংকরপুর গ্রামের নুর আলমের ছেলে লিটন (২৭) এবং ওমরপুর গ্রামের দুলালের ছেলে বেলাল (২৫) কে গ্রেফতার করে। তাদের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী ডোবা থেকে গলাকাটা বস্তা বান্ধি লাশ উদ্ধার করে। এ সময় নিতাইয়ের ব্যবহিত ঘড়ি, আংটি, মানি ব্যাগ ও কিছু কাগজপত্র উদ্ধার করে। গ্রেফতারকৃত বেলাল ও লিটন শংকরপুর গ্রামের ২ চিহ্নিত সন্ত্রাসীর সহযোগী। ঐ ২ চিহ্নিত সন্ত্রাসী মোটর সাইকেলে করে লাকসাম থেকে নিতাইয়ের লাশ ঘটনার স্থলে এনে লিটন বেলালকে দিয়ে এ নৃশংস ঘটনা সংঘটিত করা বলে কথিত অভিযোগ রয়েছে। চাটখিল থানার ওসি জাহেদুল আনোয়ার জানান, ঘটনাটি যেহেতু লাকসামের এ বিষয়টি লাকসাম থানা পুলিশয়ে ব্যবস্থা নিবে। লাকসাম থানা অফিসার ইনচার্জ আব্দুল্লাহ আল মাহফুজ বলেন তদন্তের স্বার্থে লাকসামের গ্রেফতারকৃত ৩ জনের নাম না জানালেও তিনি জানান প্রেস কনফারেন্স করে বিষয়টি সকলকে জানানো হবে। তবে সংঘটিত ঘটনাটি পরিকল্পিত।
খিলপাড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আলমগীর হোসেন জানান, তার ইউনিয়নে অন্য এলাকা থেকে লোকজন এনে হত্যাকারীরা একটি সংঘবদ্ধ চক্র এদের গ্রেফতারে তিনি প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেন।
Comments are closed.