অজানা রোগে আক্রান্ত নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মেয়ে নাদিয়া

231

আজানা এক রোগে আক্রান্ত হয়ে নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জের মাদরাসা ছাত্রী নাদিয়া অসহনীয় জীবন যাপন করছে। রোগে আক্রান্ত হওয়ার পর তার প্রথমে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত ঝরতো, বর্তমানে নাক-মুখের সাথেও চোখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরে। প্রায়ই সকালে ঘুম থেকে ওঠে চোখ মেলতে পারেনা মেয়েটি। চোখে অসহ্য জ্বালাপোড়া করে। গ্রাম্য ডাক্তার দিয়ে চিকিৎসা করার পর ডাক্তাররা রোগের কারণ জানাতে পারেননি। অসুস্থ হওয়ার পর থেকে তার পড়াশুনাও বন্ধ হওয়ার পথে। এভাবেই আক্ষেপ করে চোখ দিয়ে রক্ত ঝরার মত বিরল রোগে আক্রান্ত ১৬ বছরের কিশোরী নাদিয়ার কষ্টের কথা জানান তার পিতা ইমাম উদ্দিন লিকচন।
নাদিয়া আক্তার (১৬) নোয়াখালীর কোম্পানীগঞ্জ এর রামপুর ইউনিয়নের ২ নং ওয়ার্ডের বরকত উল্যাহ মাঝি বাড়ির ইমাম উদ্দিন লিকচনের মেয়ে। সে বামনী আছিরিয়া ফাজিল মাদরাসার দশম শ্রেণির ছাএী। পারিবারিক সূত্রে জানা যায়, ২০১৭ সালের নভেম্বর মাসে প্রথমে নাক ও মুখ দিয়ে রক্ত পড়তো। ২০১৮ সালের ফ্রেবুয়ারি মাসে নাক-মুখের সাথে চোখ ও কান দিয়ে রক্ত ঝরতে দেখা যায়।
গত কয়েক দিন আগে কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে এসে ডাক্তার দেখান। ডাক্তার উন্নত চিকিৎসার জন্য নাদিয়াকে ঢাকায় নিয়ে যেতে বলেন। ইমাম উদ্দিন হতবিহ্বল হয়ে বিরল এ রোগের চিকিৎসা কিভাবে করাবে পরামর্শ ও সহায়তার জন্য আসেন উপজেলার চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান বাদল এর কাছে। উপজেলা চেয়ারম্যান নাদিয়ার বাবা কে ঢাকা মেডিকেল এ ভর্তি করানোর জন্য পরামর্শ দেন। এরপর মেয়েকে নিয়ে ঢাকা মেডিকেলের ডা. ইউসুফ ফকিরের কাছে গেলে তিনি ঢাকা মেডিকেলের নাক, কান,গলার ডা. মুক্তি রাণী মন্ডল এর অধীনে চিকিৎসার পরামর্শ দেন। বর্তমানে নাদিয়া ডা. মুক্তি রাণী’র অধীনে মহিলা ওয়ার্ডের (৩০৬) নম্বর বেডে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আছে।
নাদিয়ার পিতা ইমাম উদ্দিন বলেন, আমি গরিব মানুষ, বাড়ির পাশে চোট্ট একটা দোকান করে কোন রকমে সংসার চালাই। মেয়েটার সু-চিকিৎসা না হলে বাঁচানো কঠিন হবে। এ প্রতিবেদকের মাধ্যমে তিনি সমাজের বিত্তবান মানুষসহ সড়ক ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এর মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সহযোগিতা কামনা করেন।

আরও পড়ুন

Comments are closed.